লক্ষ্মীপুরে বন্যা ও জলাবদ্ধতা নিরসনে সেনাবাহিনীর সহ প্রশাসনের অভিযান।
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরে পূর্বাঞ্চলের খাল গুলোতে আবর্জনা ফেলে এবং দীর্ঘদিন সংস্কার হীনতার কারণে খালগুলো ভরাট হয়ে পড়েছে। এর ফলে পূর্ব অঞ্চলের প্রায় প্রতিটি ইউনিয়ন দীর্ঘমেয়াদি জলাবদ্ধতা জনিত বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। টানা ১০ দিনেরও বেশি সময় ধরে জলাবদ্ধতা জনিত বন্যায় চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লক্ষীপুর সদর উপজেলাসহ জেলার পাঁচটি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নয় লাখেরও বেশি মানুষ।
বর্তমানে জলাবদ্ধতা নিরশনে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনীর সহ জেলা ও উপ-জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। গতকাল মঙ্গলবার ৩ আগস্ট সকাল থেকে লক্ষ্মীপুরে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর মেজর জিয়াউদ্দিন আহমেদ সহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা লক্ষ্মীপুরে পূর্বাঞ্চলের খাল গুলো পর্যবেক্ষণ করেন।
এ সময় স্থানীয় নেতৃবৃন্দ সহ দায়িত্বশীল সকলকে খাল পরিচ্ছন্ন করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়। পরিছন্নতা কার্যক্রমের প্রশাসন থেকে সকল প্রকার সহায়তা দেয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়। শিক্ষার্থী নেতৃবৃন্দের একটি টিমও প্রশাসনিক নেতৃবৃন্দের সাথে বিভিন্ন এলাকা পর্যবেক্ষণ করেন, তাদের পক্ষ থেকে বলা হয় পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে তাদের টিম সার্বিক সহায়তা করবে।
গতকালকের কর্মসূচির আলোকে আজ বুধবার মান্দারী বাজার বণিক সমিতি,ইউনিয়ন পরিষদ, শিক্ষার্থী, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মিলে মান্দারী বাজার সংলগ্ন রহমত খালি খালে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করে। এ সময় ভেকু এবং ট্রাকের মাধ্যমে খালে ভরাট করা ব্রজ্য উঠিয়ে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়।
স্থানীয় সকল মহল থেকে জানানো হয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবহেলা এবং স্থানীয়ভাবে আবর্জনা ব্যবস্থাপনার কোনো বিধি-বিধান না থাকায় ময়লা আবর্জনা ফেলার ক্ষেত্রে সকলেই স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠেছে এবং খাল গুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে।
বর্তমান সময়ের অভিজ্ঞতা থেকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে গুরুত্ব দিয়ে আগামীর কর্মসূচি সাজানোর জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের নেতৃত্বে অন্যান্য প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে একটি কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে এটাই দায়িত্বশীল সকল মহলের প্রত্যাশা